০৪ জুন, ২০২৩ খ্রি. তারিখে ৩য় বারের মত বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় চা দিবস-২০২৩ উদযাপন।
জাতীয় চা দিবস ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মত চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান কে জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩ প্রদান।
আট ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন: (১) একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান- ভাড়াউড়া চা বাগান (২) সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান-মধুপুর চা বাগান (৩) শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক-আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লি. (৪) শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী-মো: আনোয়ার সাদাত সম্রাট (পঞ্চগড়) (৫) শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান- জেরিন চা বাগান (৬) বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ কোম্পানি-কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট লি: (৭) দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা কোম্পানি-গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ লি: (৮) শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (চা শ্রমিক)- উপলক্ষী ত্রিপুরা, নেপচুন চা বাগান।
জাতীয় চা পুরস্কার নীতিমালা ২০২২ প্রকাশ।
২০২২ খ্রিস্টাব্দে দেশে ৯৩.৮৩ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।
২০২২ খ্রিস্টাব্দে শুধুমাত্র উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে (পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারি) বৃহৎ চা বাগান ও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানে রেকর্ড পরিমাণ ১৭.৭৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।
২০২১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬.৫০৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে।
দেশের উত্তরাঞ্চলে ২০২১ খ্রিস্টাব্দে রেকর্ড পরিমাণ ১৪.৫৪ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।
‘বান্দরবান টি’ নামে আন্তর্জাতিক মানের চা ব্র্যান্ড উদ্ভাবন এবং নান্দনিক ও আকর্ষণীয় মোড়কে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
২০২২ সালে প্রথমবারের মত ‘টি টেস্টিং এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল’ কোর্স চালু
চা শিল্পের উন্নয়নের “উন্নয়নের পথনকশা: বাংলাদেশ চা শিল্প” এর স্বল্প মেয়াদী (২০১৬-২০২০) লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। স্বল্প মেয়াদী লক্ষ্যমাত্রার ১০০% অর্জিত হয়েছে। এছাড়া মধ্য মেয়াদী (২০২১-২০২৫) লক্ষ্যমাত্রার বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
লালমনিরহাট প্রকল্পের মেয়াদ ৩০ জুন, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ পর্যন্ত (দুই বছর) বৃদ্ধিকরণ। লালমনিরহাটে চা বোর্ড ক্যাম্প অফিস স্থাপনের লক্ষ্যে ১ একর জমি অধিগ্রহণ।
সিএইচটি প্রকল্পের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বৃদ্ধিকরণ।
বান্দরবান জেলার রুমায় এবং লালমনিরহাট জেলার সদরে বাংলাদেশ চা বোর্ড ক্যাম্প অফিস স্থাপনের কার্যক্রম শুরু।
করোনা মহামারীর কারণে চা শিল্পে অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ১২০.০০ কোটি টাকা প্রনোদনা প্রদান।
মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর তফসিলে চা আইন, ২০১৬ অন্তর্ভুক্তকরণ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ।
২০২১ সালে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) কর্তৃক উদ্ভাবিত উন্নতজাতের চা চারা বিটি-২২ ও বিটি-২৩ অবমুক্ত করা হয়। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে চা শিল্পের জন্য উন্নতজাতের ক্লোন দুটি অবমুক্ত করা হয়।
১৫ মার্চ, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে চট্টগ্রাম চা নিলাম কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন চা নিলাম কার্যক্রম চালু।
চা শিল্পে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর যুগান্তকারী অবদানকে স্মরণীয় করে রাখা এবং দেশের অর্থনীতিতে চা শিল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে জন্য বিগত ২০ জুলাই ২০২০ খ্রি. তারিখ মন্ত্রিসভার বৈঠকে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ ৪ জুনকে প্রতি বছর “জাতীয় চা দিবস” হিসেবে পালনের অনুমোদন দেয়া হয়। ২০২১ সাল থেকে জাতীয় চা দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।
২০২০ খ্রিস্টাব্দে ৮৬.৩৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন।
২০২০ খ্রিস্টাব্দে ২.১৭ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি।
২০১৯ খ্রিস্টাব্দে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রেকর্ড পরিমাণ ৯৬.০৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন। যেখানে ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে চায়ের উৎপাদন ছিল ৫৯.৯৯ মিলিয়ন কেজি।
বাংলাদেশ চা শিল্পের উন্নয়নের জন্য ১১ টি কর্ম কৌশল অন্তর্ভুক্ত করে “উন্নয়নের পথনকশা: বাংলাদেশ চা শিল্প” তৈরি করা হয়; যা ৩১ জানুয়ারি, ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত হয়। অনুমোদনের পর গত পাঁচ (০৫) বছরে “উন্নয়নের পথনকশা: বাংলাদেশ চা শিল্প” এর কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উচ্চ ফলনশীল ২৩টি ক্লোন এবং একটি বাই- ক্লোনেল বীজ উদ্ভাবন।
বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এ দেশের সর্বপ্রথম স্বয়ংক্রিয় “গ্রিন টি কারখানা” স্থাপন।
“চা সেবা” এবং “দুটি পাতা একটি কুড়ি” নামে দুটি মোবাইল অ্যাপ চালু।
“বাংলাদেশ চা” প্রচারের জন্য চারটি (০৪) প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন; এবং “বাংলাদেশ চা” নামে একটি বিশ্বমানের চা ব্র্যান্ড তৈরি করার পাশাপাশি আকর্ষণীয় প্যাকেজসহ উপস্থাপন।
০৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র চালু।
অনলাইনে চা লাইসেন্স আবেদন গ্রহণ এবং লাইসেন্স প্রদানের লক্ষ্যে ‘অনালাইন টি লাইসেন্স সিস্টেম’ চালুকরণ।
ক্ষুদ্র চা চাষীদের হাতে কলমে চা চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক “ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল” চালু।